বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩
বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন বার্ণ ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, তোফাজ্জলের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এর আগে একই ঘটনায় তার দগ্ধ স্ত্রী, ও মেয়ে মারা যায়। বর্তমানে বাকি দুই মেয়ের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বাড্ডা থানাধীন আফতাব নগর দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজারের পাশে তৃতীয় তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ তোফাজ্জল ঠাকুগাঁও সদর উপজেলার চিলা রং গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি শ্রমিক।পরিবার নিয়ে আনন্দনগরের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সত্যতা নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, বাড্ডায় বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেনের শরীর ৮০ শতাংশ, তার স্ত্রী মঞ্জুরা বেগমের ৬৭ শতাংশ, তানজিলা ৬৬ শতাংশ, মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রাখা হয়েছে। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
হাসপাতালে নিয়ে আশা প্রতিবেশী মো. শরীফ জানিয়েছেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বাড্ডা থানাধীন তৃতীয় তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলার ওই বাসায় কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ থেকে পুরো রুমটিতে গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়ে ছিল।রান্না করার জন্য রাতে চুলায় আগুন দেওয়ার সঙ্গে সাঙ্গেই ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। এতেই সবাই দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়।