টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত
গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের মালিকের সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধসহ পাঁচ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্য থেকে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে যান।
বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে-
টিএনজেড গ্রুপের ওয়াশিং প্ল্যান্ট ও মহাখালীস্থ ডিওএইচএস-এ মালিকের বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে ঐকমত্য হওয়ায় শ্রম ভবনের ঘেরাও কর্মসূচি শ্রমিক নেতারা প্রত্যাহার করবেন।
টিএনজেড গ্রুপের মালিক বিদেশে থাকায় এরই মধ্যে তাকে দেশে আনার জন্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
টিএনজেড-এর পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
টিএনজেড-এর ডাইরেক্টর ফিনান্স শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত সরকারের হেফাজতে থাকবে।
এদিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আগামী ৭ কর্মদিবস অর্থাৎ ২৯ মে পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রমিকেরা। এই সময়ের মধ্যে বেতন বকেয়া পরিশোধ না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা দিকে জাতীয় শ্রম ভবন থেকে “মার্চ টু যমুনা” কর্মসূচির অংশ হিসেবে শতাধিক পোশাক শ্রমিক প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের দিকে যাত্রা শুরু করেন। পরে পুলিশের বাধার মুখে তারা কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নেন। পরে শ্রমিকদের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘ তিন থেকে ছয় মাসের বেতন বন্ধ রেখেছে গার্মেন্টস মালিকরা। গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের ৮টি ও আশুলিয়ার চেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড দীর্ঘ সময় ধরে বেতন বন্ধ রেখেছে। এতে শ্রমিকদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।