বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২

ঢামেক প্রতিবেদক
১৯ মে ২০২৫, ০০:৪৬
শেয়ার :
বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২

বাড্ডা আফতাব নগর গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের তিন শিশুসহ ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় গৃহকর্তী মানসুরা বেগম (৩৫) মারা গেছেন। এর আগে তার মেয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে দু'জনে।  

চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যায়। 

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন ডাঃ শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, মৃতার শরীরের ৬৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। দগ্ধ বাকিদের অবস্থা ও আশঙ্কাজনক।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বাড্ডা থানাধীন আফতাব নগর দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজারের পাশে তৃতীয় তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। 

দগ্ধরা হলেন তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী মানসুরা বেগম (৩৫) ও তার তিন মেয়ে তানিশা (৪), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (১১)। 

দগ্ধ তোফাজ্জল ঠাকুগাঁও সদর উপজেলার চিলা রং গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি শ্রমিক।পরিবার নিয়ে আনন্দনগরের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি। 

সত্যতা নিশ্চিত করেন বার্ন ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, বাড্ডায় বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেনের শরীর ৮০ শতাংশ, তার স্ত্রী মঞ্জুরা বেগমের ৬৭ শতাংশ, তানজিলা ৬৬ শতাংশ, মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। 

জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রাখা হয়েছে। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক শাওন বিন রহমান। 

হাসপাতালে নিয়ে আশা প্রতিবেশী মো. শরীফ জানিয়েছেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে বাড্ডা থানাধীন তৃতীয় তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলার ওই বাসায় কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ থেকে পুরো রুমটিতে গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়ে ছিল।রান্না করার জন্য রাতে চুলায় আগুন দেওয়ার সঙ্গে সাঙ্গেই ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। এতেই সবাই দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়।