শেখ হাসিনার হলফনামায় গরমিল আছে : দুদক চেয়ারম্যান
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। একদিকে তার নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের বিবরণে গরমিল ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, অন্যদিকে ২০০৭ সালে দায়ের করা একটি দুর্নীতি মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে দুদক।
গতকাল রবিবার মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুদকের ১৭৪তম গণশুনানিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের তদন্ত করছে দুদক। ইতোমধ্যে তার নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে বাস্তবতার গরমিল পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, গণশুনানির উদ্দেশ্য কাউকে ছোট করা নয়। আমরা স্বীকার করি, দুর্নীতি আমাদের মধ্যেই রয়েছে। ঘুষ নেওয়া-দেওয়ার প্রক্রিয়ায় যদি সাপ্লাই সাইড বন্ধ করা যায়, তাহলে ডিমান্ড সাইডও বন্ধ হয়ে যাবে।
গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ উত্থাপন করেন সাধারণ নাগরিকরা। জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হুসাইনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন উপ-পরিচালক এমএম শাব্বির হাসান বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বাতিল হয় ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে। চলতি বছরের ৫ মার্চ এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুদক। প্রায় ৫ হাজার ৪৫২ দিন বিলম্বে করা এই আবেদনে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে মার্জনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার এ আবেদনের শুনানি ছিল বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে। আদালত ১৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?