স্বামীর বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালালেন নববধূ
লালমনিরহাট জেলা আদিতমারীতে বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়েছেন এক নববধূ এবং তার সঙ্গে থাকা আপন খালাতো বোন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আদিতমারী থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী হোসেন আলী আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের খিজির মামুদের ছেলে।
প্রতারক নববধূ রুমানা খাতুন (২৯) একই উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকার এনছার আলীর স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে।
এ ঘটনায় নববধূ, তার সহযোগী এবং বিয়ের ঘটকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন রুমানার স্বামী হোসেন আলী।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন ঘটক জোবাইদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম এবং লালমনিরহাট পৌরসভার কাজী আমজাদ হোসেন সরকার।
অভিযোগে হোসেন আলী জানান, এক বছর আগে তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কয়েক মাস পর দ্বিতীয়বার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন রবিউল ইসলাম। ঘটক জোবাইদুল তাকে পাত্রী দেখানোর কথা বলে গত গত বুধবার লালমনিরহাট পৌরশহরে নিয়ে যান। সেখানে স্বামী পরিত্যক্তা রুমানাকে দেখানোর পর পছন্দ হলে তাৎক্ষণিকভাবে এক লাখ টাকা দেনমোহরে কাজী আমজাদ হোসেন সরকারের অফিসে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের পর রাতেই রুমানাকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে রুমানা তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রুমানা ঘর থেকে তামাক বিক্রির ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। এদিকে সন্ধ্যায় রুমানা না ফেরায় এবং মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় হোসেন আলীর। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ঘরের বিছানা এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। এমনকি তার ঘরে রাখা তামাক বিক্রির টাকা ও স্বর্ণালংকার নেই।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে একাধিকবার কল করেও অভিযুক্ত ঘটক জোবাইদুল ফোন রিসিব করেননি এবং নববধূ প্রতারক রুমানার মোবাইলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের দাবি, রুমানাসহ তার একটি বড় চক্র রয়েছে। তাদের মূল কাজই হলো বিভিন্নভাবে তরুনদের টার্গেট করে বিয়ের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। তাই তারা কোথাও স্থায়ীভাবে নাম, ঠিকানা ও বাসা ব্যবহার করেন না।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর বলেন, ‘এটি প্রতারণা ও চুরি চক্রের নতুন কোনো কৌশল হতে পারে। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’