‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ দেওয়া হবে আত্মঘাতী’
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও অদূরদর্শী হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ। একই সঙ্গে অভিজ্ঞতার দোহাই দিয়ে জাতীয় অর্থনীতির প্রধান লাইফ লাইন চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ মানতে পারে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে দলটি।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত প্রধান সমুদ্রবন্দর বিদেশি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করার তৎপরতা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। এই সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দেশের জন্য বুমেরাং হতে পারে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোনো কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী ও অদূরদর্শী। দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ কোনো সরকার আমাদের প্রধান সমুদ্রবন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে পারে না। তা ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের এত বড় জাতীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কোনো এখতিয়ার নেই।’
তারা আরও বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে চালু হওয়া দেশের বৃহত্তর এই কনটেইনার পোর্টটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে গত ১৭ বছর ধরে লাভজনকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সরকারের ঘোষণার ফলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সরকার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছে? এই টার্মিনালে বিশ্বের সর্বাধুনিক গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আধুনিক প্রযুক্তিও যুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে বন্দরের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আরও আধুনিক প্রযুক্তি আমদানি করারও সুযোগ রয়েছে। জাতীয় সক্ষমতা অর্জনের এই পথে না হেঁটে সরকার বন্দরে বিদেশ নির্ভরতার যে পথে হাঁটছে কোনোভাবেই তা দেশবাসী মেনে নিতে পারে না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
জাতির এই কঠিন সময়ে এই সিদ্ধান্ত দেশের জন্য কোনো অবস্থায় কল্যাণ বয়ে আনবে না। তাই সরকারকে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এই ধরনের সব তৎপরতা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান ন্যাপ নেতৃদ্বয়।