জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাবি মেনে নিল সরকার

জবি প্রতিনিধি
১৬ মে ২০২৫, ২২:৩৭
শেয়ার :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাবি মেনে নিল সরকার

সরকারের পক্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় চলমান আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিও প্রত্যাহারের ঘোষণা করা হয়। আজ সন্ধ্যা ৮টায় জবি ‘ঐক্য প্লাটফর্ম’ থেকে আন্দোলন সমাপ্তির ঘোষণা দেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন। 

রইছ উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটি দাবি আদায় হয়েছে। বাজেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে সকল বাজেটে সেই ধারাবাহিকতা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সেই আশ্বাস পেয়েছি আমরা। অর্থ মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সঙ্গে মিটিংয়ে সরকার আমাদের ৪ দফা দাবি মেনে নিয়েছে। আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনের বাজেটেই আমাদের দাবির প্রতিফলন দেখব। আমাদের তিন দফা দাবির অস্থায়ী আবাসনের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অগ্রাধিকার প্রকল্পে প্রায়োরিটি ব্যসিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং বাজেট বৃদ্ধির ব্যাপরে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সামনের বাজেটেই আমাদের দাবির প্রতিফলন দেখব।’

আন্দোলন সমাপ্তি ঘোষণা দিয়ে রইছ উদ্দীন বলেন, ‘আজকে যেহেতু আমাদের দাবি পুরণ হয়েছে তাই আমাদের চলমান আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করছি এবং কমপ্লিট শাটডাউন তুলে নিয়েছি।’

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন আজকের কর্মসূচির ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মোড়েই অবস্থান করবেন শিক্ষার্থীরা, এ ঘোষণা দেন। নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বলেন, দাবি আদায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শুক্রবার জুমার নামাজের পর গণঅনশন শুরু করবে। এতে সকল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস পালনের ঘোষণা দেন তিনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন ঘোষণা করেন।

অধ্যাপক রইছউদ্দীন বলেন, ‘আমরা অধিকার জানাতে এসেছি। আমাদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এটি অরাজকতা ও অন্যায়। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। ’ ১৪ মে কালো দিবস পালনের ঘোষণা দেন তিনি।