জয়পুরহাটে গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ২
জয়পুরহাটে এক নারীকে গণধর্ষণের মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে জয়পুরহাট থানা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে জুলফিকার আলী (১৯) ও পৌর শহরের গাড়িয়া কান্ত মহল্লার রেজাউল ইসলামের ছেলে রেজুয়ান পারভেজ (১৯)।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রেজুয়ানকে তার নিজ বাড়ী থেকে এবং জুলফিকারকে খঞ্জনপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূর আলম সিদ্দিক জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলায় বসবাসরত ৩৬ বৎসর বয়সী এক নারী গত ৯ এপ্রিল রাতে মাহবুব আলম আব্দুল্লাহর (২৫) নিকট ২ হাজার টাকা ধার চান। পরে তিনি ওই নারীকে মোটরসাইকেলে করে কুঠিবাড়ী ব্রিজ এলাকায় নিয়ে গেলে আব্দুল্লাহ খঞ্জনপুরের মিশন পাড়ার বাসিন্দা টুলু মিয়ার ছেলে শাহীনুর রহমান শ্রাবণ (২২), জুলফিকার আলী ও রেজুয়ান পারভেজকে সেখানে ডাকেন। ওই রাতে তাদের ৩ জনের কাছে ওই নারীকে সোপর্দ করে কৌশলে আব্দুল্লাহ সেখান থেকে সটকে পড়েন। অভিযুক্তরা ওই নারীকে কুঠিবাড়ী ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের অন্তত দেড় কিলোমটিার দূরে নিয়ে যান। তবে কৌশলে সেখান থেকে ওই নারী পালিয়ে এসে খঞ্জনপুর যমুনা বাধ গ্রামস্থ আবু বকরের বাড়ীতে আশ্রয় নিলে সেখানেও ছুটে আসেন তারা। পরবর্তীতে তাকে পূর্ব পাথুরিয়া গ্রামের খোকনের কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত জোড়পূর্বক গণধর্ষণ চালান। পরে আব্দুস সালামের পটল ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে আবারও রাত সাড়ে ৩ টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ওই সময় অভিযুক্তরা সিগারেট খাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়লে ওই নারী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী আব্দুল্লাকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন এবং তার দেওয়া সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ ওই দুজনকেও গ্রেপ্তার করেন।
বর্তমানে শাহীনুর রহমান শ্রাবণ পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি মো. নূর আলম সিদ্দিক।
অভিযুক্তদের আজ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানা যায়।