এয়ার টিকিটের কৃত্রিম সংকট রোধে সরকারের হস্তক্ষেপ চায় আটাব
এয়ার টিকেটের দাম বেড়েই চলেছে। অভিযোগ আছে-অধিক মুনাফার লোভে সিন্ডিকেট, কালোবাজারি ও মজুতদারির মাধ্যমে কৃত্রিম আসন সংকট তৈরি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
গত বুধবার সন্ধ্যায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে 'আটাবের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও এয়ার টিকেট সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ' শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা আয়োজন করে আটাব।
এক মতবিনিময় সভায় আটাব নেতারা বলেন, টিকেট সিন্ডিকেট একটি অসাধু চক্র, যারা কালোবাজারি ও মজুতদারির মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফা লুটে নিচ্ছে। তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। টিকেট সিন্ডিকেটকে চিরতরে ট্রাভেল ট্রেড থেকে বিতাড়িত করতে না পারলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব না।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
নেতারা আরও দাবি করেন, কিছু অসাধু ট্র্যাভেল চক্র এই সিন্ডিকেটচক্রের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রটি বর্তমান বৈধভাবে নির্বাচিত আটাব কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও বিভ্রান্তিকর তথ্যও ছড়িয়ে চলেছে।
তারা জানান, আটাব বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর একমাত্র বাণিজ্যিক সংগঠন, যা ১৯৭৬ সাল থেকে দেশে প্রায় চার হাজার বৈধ ট্রাভেল এজেন্টের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে আসছে। সংগঠনটি সরকারের সঙ্গে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সংগঠনটির সভাপতি আবদুস সালাম আরেফের সভাপতিত্বে ‘আটাবের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও এয়ার টিকেট সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আটাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান ইসি সদস্য আলহাজ্ব এইচ এম মুজিবুল হক সাকু, সাবেক মহাসচিব জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী দিপু, উপসচিব রুশো চৌধুরী, তোয়াহা চৌধুরী প্রমুখ।