লালমনিরহাটে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড দুই শতাধিক ঘরবাড়ি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১৫ মে ২০২৫, ১৫:৫৬
শেয়ার :
লালমনিরহাটে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড দুই শতাধিক ঘরবাড়ি

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি। এ সময় তীব্র বাতাসের গতিতে ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ নানা স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মহাসড়কসহ গ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় পড়ে আছে গাছপালা। ফলে যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঝড়ে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসে আম, লিচু, ভুট্টা, গম, ধান ও বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। বিশেষ করে কাকিনা-চাপারহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তুষভাণ্ডার এলাকার শিমুল মিয়া জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে হালকা বাতাস শুরু হয়। এরপর হঠাৎ করেই প্রবল গতিতে ঝড় বয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আমার বাড়ির আশপাশে ঘরের ছাউনি উড়ে যায়। গাছপালা উপড়ে পড়ে আছে।

ঘণ্টাখানেক ধরে চলা এই ঝড়ে উপজেলার তুষভাণ্ডার, ভোটমারী ও কাকিনা মদাতি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা জানান, বিশেষ করে ভুট্টা, পাট ও পাকা ধানের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসে গাছ হেলে পড়াছে।

স্থানীয় কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ করে হালকা বাতাস শুরু হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝড়ে আমার পুরো বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ঘর মেরামতের জন্য সরকারের সাহায্য ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা। এ সময় তিনি জানান, তুষভাণ্ডার, মদাতী, কাকিনা ভোটমারীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কিছু ঘরবাড়ি এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থ ও মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে। তবে ঝড়ে কয়েকজন আহত হলেও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।