যে কারণে এক হলেন ‘বরবাদ’, ‘জংলি’, ‘দাগি’র প্রযোজকরা

বিনোদন প্রতিবেদক
১৫ মে ২০২৫, ১৪:৫২
শেয়ার :
যে কারণে এক হলেন ‘বরবাদ’, ‘জংলি’, ‘দাগি’র প্রযোজকরা

গেল কয়েক বছর ধরে দেশের প্রেক্ষাগৃহ মাতিয়ে রেখেছে ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’, ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘বরবাদ’, ‘জংলি’, ‘দাগি’র মতো সিনেমাগুলো। যা থেকে রমরমা ব্যবসা করেছে সিনেপ্লেক্স ও সিঙ্গেল স্ক্রিনের মালিকপক্ষ। কিন্তু হলগুলো থেকে প্রযোজকরা যে পরিমাণ টাকা ফিরত পাওয়ার কথা তা পাচ্ছেন না।

প্রযোজকদের বক্তব্য এমন- যদি হল থেকে লভ্যাংশের অনুপাত উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে পরিবর্তন করা যায়, তাহলে প্রযোজকরা প্রাপ্য বুঝে পাবেন, এতে আরও বেশি সিনেমা নির্মিত হবে। পাশাপাশি সিঙ্গেল স্ক্রিনে বুকিং এজেন্টের দৌরাত্ম্যসহ যেসব সমস্যায় আছে তাও নিরসন হবে।

প্রযোজকদের স্বার্থ রক্ষায় এবার এক হলেন ‘তুফান’, ‘দাগি’, ‘সুড়ঙ্গ’র প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, ‘বরবাদ’র শাহরিন আক্তার সুমি, আজিম হারুন, ‘জংলি’র জাহিদ হাসান অভি, ‘৮৪০’র নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ নির্মাতা রায়হান রাফী, রেদওয়ান রনি, শিহাব শাহীন, শরাফ আহমেদ জীবন, সঞ্জয় সমদ্দারসহ অনেকে। উদ্দেশ্য- সিনেপ্লেক্স ও সিঙ্গেল স্ক্রিনের মালিকদের সঙ্গে সুন্দর একটি সমাধান। মূলত, প্রযোজকদের স্বার্থ রক্ষায় মূলত একত্রিত হয়েছেন তারা।

দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সিস্টেম পরিবর্তন করতে নিয়মিত প্রযোজক ও পরিচালকরা মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহ থেকে ন্যায্য লভ্যাংশ যেন ঠিকমত বুঝে পান সেই নিয়ম চালু করা।

এ সময় শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘বর্তমানে সিনেপ্লেক্স যে রেভিনিউ রেশিও প্রযোজকদের প্রদান করছে, তা বাস্তবতা ও শিল্পের স্বার্থে সঙ্গত নয়। এই ধরনের রেশিও এর আওতায় বড় কিংবা ছোট- কোনো বাজেটের চলচ্চিত্রই নির্মাণ করা বা লগ্নিকৃত অর্থ উঠানো সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে, প্রযোজক ও পরিবেশক একে অপরের পরিপূরক। তাই শিল্পের অগ্রগতির স্বার্থে আমরা আশা করছি সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে যৌক্তিক সমাধানে এগিয়ে আসবে। সামনে কোরবানি ঈদে প্রযোজকরা তাদের ন্যায্য অর্থ পাবেন- এটাই আমার প্রত্যাশা।’

‘বরবাদ’ প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘প্রযোজকদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা সবাই মিলিত হয়েছি। সিনেপ্লেক্সের মেইনটেইনেন্স কস্ট কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে আমাদের সবার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। “বরবাদ” রিলিজ দিয়ে আমাকে অনেককিছু ফেইস করতে হয়েছে। দেশের সিনেমার স্বার্থে আমরা পাশাপাশি মিলে কাজ করব। দেশের আমাদের প্রযোজক সমিতি এখন অকার্যকর, তাই আমরা সবাই মিলে উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমস্যাগুলোর সমাধান হলে আগামীতে আরও বড় সিনেমা নির্মাণ করতে অনুপ্রাণিত হবো।’

নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, ‘সিনেপ্লেক্স থেকে প্রযোজকরা যে টাকা পান সেটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম। আশা করছি, উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান হবে। এই সমস্যার সমাধান হলে প্রযোজকরা আরও সিনেমা বানাবেন। আর প্রযোজক বাঁচলেই দিনশেষে সিনেমা হলও বাঁচবে।’