মাহফুজকে বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, যে আহ্বান জানালেন পিনাকী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে গিয়ে কথা বলার সময় গতকাল বুধবার তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য।
তিনি বলেছেন, ‘মাহফুজকে যারা আঘাত করেছে তারা বিপ্লবের শত্রু, তারা হাসিনার দুঃশাসনের বিপরীতে যারা ভিন্ন ভোরের ইঙ্গিত হয়ে উঠতে চায় তাদের সকলের শত্রু।’
আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্টে পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘সকল দুর্বলতা থাকার পরেও আমরা মাহফুজকে ভালোবাসতাম! হ্যাঁ, ভালোবেসেছিলাম এই জন্য যে, সে ছিল হাসিনার নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে এক টুকরো আলো।সে আলো নিভে গেলে, আমরা আবার কীভাবে আরেক নতুন আগুন জ্বলাব?’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি লিখেছেন, ‘মাহফুজের ওপর আঘাত করে আপনি কি হাসিনার প্রতিভূ হবেন? আপনি কি নিঝুমের মতো নিঃশ্বাস থামানো সেই অন্ধকার, নাকি পিয়ালের মতো লুকোনো খুনি? আপনি কি সেই ছায়া, যে ছাত্রলীগ আর খাকি পোশাকে গুলি চালিয়ে শহিদদের নিঃশ্বাস থামিয়ে দিয়েছিল?’
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরও লিখেছেন, ‘বিপ্লব একটি অসমাপ্ত কবিতার মতো, যার শেষ পংক্তি লিখতে হয় জয়ের কালি দিয়ে। মাহফুজকে আমাদের দরকার বিপ্লবের সেই শেষ পংক্তি লেখার জন্য। মাহফুজকে যারা আঘাত করেছে তারা বিপ্লবের শত্রু, তারা হাসিনার দুঃশাসনের বিপরীতে যারা ভিন্ন ভোরের ইঙ্গিত হয়ে উঠতে চায় তাদের সকলের শত্রু।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
পোস্টের শেষ অংশে ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পাশে সবাইকে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচর্য।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ১০টার পর রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে গিয়ে সেখানে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি কথা বলার এক পর্যায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথা লক্ষ্য করে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর আর কথা না বলে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
এর প্রায় ১৫ মিনিট পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘আমার সাথে যেটা হয়েছে আজকে, আমি এখানে আসার পরে, একটি অংশ আমি যাদের মনে করি, স্যাবেটুর (অন্তর্ঘাতকারী), যারা স্যাবোটাজ (অন্তর্ঘাত) করার জন্য বিভিন্ন আন্দোলনে ঢোকে, আমি শুধু তাদের নাম আজ উল্লেখ করব না। মিডিয়ার দায়িত্ব, প্রশাসনের দায়িত্ব তাদের এবং তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা।’