চোখ-মুখ বেঁধে যুবককে তুলে নিয়ে মারপিটের অভিযোগ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
১৫ মে ২০২৫, ০৯:২৭
শেয়ার :
চোখ-মুখ বেঁধে যুবককে তুলে নিয়ে মারপিটের অভিযোগ

রাজবাড়ীর পাংশায় এক যুবককে চোখ-মুখ বেঁধে যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। 

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এদিন বিকেলে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের তেলিগাঁতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই যুবকের নাম মুকুল মন্ডল। তিনি উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জীবন নালা গ্রামের বিশু মন্ডলের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুজন মিয়া বলেন, ‘আমি মুকুল কাকার সঙ্গেই ছিলাম। পথে মোটরসাইকেলের তেল ফুরিয়ে গেলে তেল আনতে যাই। তখন কাকা চরহরিণাডাঙ্গা স্কুল মাঠে ছিলেন। সে সময় ৪টি মোটরসাইকেলে ৮-১০ জনের একদল দুবৃর্ত্ত এসে চোখ-মুখ বেধে তুলে নিয়ে যায়। পরে তেলিগাঁতি স্কুল মাঠে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে।’

মুকুল মন্ডলের কাকা নায়েব আলী বলেন, ‘আমরা জানতে পারি মকুলকে তুলে নিয়ে গিয়ে তেলিগাঁতি স্কুলের পাশে রেখেছে। পরে সেখানে গিয়ে দেখি তাকে মারধর করে ফেলে রেখে গেছে। ওখানে দুইজন মানুষ আছে তাদের আমরা চিনি না। তাদের বললাম মকুলকে নিয়ে যাই না হলে মরে যাবে। তারা বললেন, যারা ধরে নিয়ে আসছে তাদের অনুমতি ছাড়া দেওয়া যাবে না। তখন ওই দুইজনকে বললাম, তাদের ডাকো। তারা ফোন নাম্বার দিলেন, কল দিলে তারা বললো, আসতেছি। এরপর পুলিশ গিয়ে মকুলকে উদ্ধার করে।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কুতুব আহমেদ জানান,আহত যে রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া বাম হাতের নখ তুলে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার এস আই শ্রীবাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করেছে। বর্তমানে তিনি পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পূর্ব শত্রতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।