আসিফের আবেগঘন পোস্ট /

দুঃখিত সাম্য, তোমাকে নিরাপত্তা দিতে পারিনি

অনলাইন ডেস্ক
১৪ মে ২০২৫, ১৪:৫০
শেয়ার :
দুঃখিত সাম্য, তোমাকে নিরাপত্তা দিতে পারিনি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

আজ বুধবার দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি সাম্য হত্যার বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। পোস্টে তিনি শুধু এই প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশই করেননি, বরং গোটা উদ্যান এলাকাকে নিরাপদ করতে নিজের অগ্রণী ভূমিকা পালনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন।

স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ২০১৯ সালের দিকে ক্যাম্পাসে গেস্টরুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কিংবা শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে যেসব মুখ সবসময় দেখা যেত, সাম্য তাদের একজন। প্রথম বর্ষ থেকেই সাম্য ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং অসম্ভব ভদ্র একজন ছেলে। সেই ছোটভাই সাম্য আজ আর আমাদের মাঝে নেই। এটা মেনে নেওয়া সত্যিই কষ্টকর।

তিনি লেখেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে শুধু ব্যক্তি নয়, উদ্যান কেন্দ্রিক অপরাধচক্র, মাদক চক্র এবং উদ্যানের অনিরাপদ পরিবেশও এ ঘটনার জন্য সমানভাবে দায়ী।

উদ্যানের নিরাপত্তাহীন অবস্থা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লেখেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবার কথা ছিল স্বস্তির জায়গা অথচ অবৈধ দোকান, মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধচক্রের কারণে এটি দীর্ঘদিন যাবত আতঙ্কের স্থানে পরিণত হয়েছে।

উপদেষ্টা আরও লেখেন, ইতোমধ্যে ঢাবি প্রশাসন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী খুব শিগগিরই উদ্যানকে একটি নিরাপদ স্থানে পরিণত করা হবে। আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ একটি জায়গা হিসেবে গড়ে তুলব। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন ঢাবির স্যার এএফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাস্তায় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন সহপাঠীরা। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে বারোটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।