সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ মে ২০২৫, ১৩:৪২
শেয়ার :
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাবি ছাত্রদল।

এ সময় হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রদল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে এসে ভিসি চত্বরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এসময় তাদের 'আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

পরে সমাবেশে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘বিভিন্ন ক্যাম্পাসে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে একজন মানসিক ভারসাম্যহীনকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ ছাত্রদলের। পরীক্ষিত নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে যেভাবে হত্যা করেছে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শতভাগ নিষ্ক্রিয় ছিল।’

তিনি বলেন ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির বদলে একটি ছাত্রসংগঠনকে বিভিন্ন হলে দখলদারিত্ব করতে সহায়তা করেছে।’

তিনি আরও বলেন ‘৫ আগস্টের পর হলগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার আমরা দেখিনি। এফএইচ হলের পুরোপুরি তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে দেখিনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এখনো বিচার শুরু হয়নি।’

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি (২৫) ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে (২৫) নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে শাহবাগ থানাধীন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। পথে রমনা কালিমন্দিরের উত্তর পাশে বটগাছের কাছে পুরাতন ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দিয়ে এস. এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের কিল, ঘুসি ও ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করে। পরবর্তীতে আসামিদের মধ্য থেকে একজন আসামি শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের ডান রানের পেছনে উপর্যুপরি আঘাত করে।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।