আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের এই বিষয়টি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র অবগত আছে।
গতকাল মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সব দেশের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা যেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সব সংগঠনের স্বাধীনতাকে সম্মান দেয়।’
প্রসঙ্গত, সদ্য সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারার আওতায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে গত সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ আপাতত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি বা প্রচার চালাতে পারবে না। দলটিকে এখন জুলাই আন্দোলন দমনে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনের পর ওইদিন রাতেই দলটির নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।’