আওয়ামী যড়যন্ত্রকারীদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না: আমিনুল হক
বাংলাদেশে আওয়ামী যড়যন্ত্রকারীদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ‘জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’-এর দুটি ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, ‘অবৈধ ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ যেখানেই তারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবে এবং যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে মিথ্যাচার করার চেষ্টা করবে এবং ষড়যন্ত্র করবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সকলকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী প্রেত্মাতাদের ষড়যন্ত্রকারীদেরকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ যে ফ্যাসিষ্টের উপাধি পেয়েছে। সেই ফ্যাসিষ্টদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই। কারণ তারা গত ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। গত ১৭ বছরে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনে তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও আজ্ঞাবহ প্রশাসনকে ব্যবহার করে রাতের অন্ধকারে বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতায় বসেছিল।’
আওয়ামী লীগকে নিয়ে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ছিল এবং জনগণকে সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তাদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই। ’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, ‘আপনারা এ দেশের জনগণের ভাষা বুঝে, সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে একসাথে সুসংগঠিত করেন। বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া ও প্রত্যাশা অনুযায়ী অতি দ্রুত সময়ের ভেতরে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই জনগণের সরকারই আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করবে। ’
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বিএনপি এদেশের সাধারণ মানুষের দল। সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করে। বিএনপি জনগণের ভাষা বুঝে রাজনীতি করে। বিএনপি সেই দল সবাইকে নিয়ে দেশ চালিয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের প্রতি সাধারণ মানুষের যে ভালোবাসা ছিল, সেজন্য প্রেসিডেন্ট জিয়া জনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। ’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী। আপোস না করার কারণে তাকে কারান্তরীণও থাকতে হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনকে নিশ্চিত করেছেন। জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আকতার হোসেন, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, মো. আশরাফুজ্জাহান জাহান, শামীম পারভেজ, হাফিজুল হাসান শুভ্র, হাজী নাসির উদ্দীন, তাসলিমা রিতা, দারুস সালাম থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এ সিদ্দিক সাজু প্রমুখ।
খেলায় খিলক্ষেত থানাকে ৭-০ গোলে হারায় পল্লবী থানা এবং তুরাগ থানাকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়ী হয় দারুসসালাম থানা।