বিএনএনআরসি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা ফেলোশিপ পেলেন ২৫ সাংবাদিক
বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তায় মিডিয়া ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে ২৫ গণমাধ্যমকর্মীকে। এই ফেলোশিপ ‘স্ট্রেনদেনিং রোড সেইফটি লেজিসলেশন অন কী বিহেভিরিয়াল কী ফ্যাক্টরস ইন বাংলাদেশ থ্রু মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়।
বিএনএনআরসি জানায়, ফেলোশিপটি প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সড়ক দুর্ঘটনার মানবিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব তুলে ধরে প্রমাণভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, বিএনএনআরসি মিডিয়ার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিরাপদ চলাচলকে উৎসাহিত করছে এবং নীতি সংলাপকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে আচরণগত পরিবর্তনে কাজ করছে। বিএনএনআরসি রোড সেফটি ফেলোশিপের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিবেদন বৃদ্ধি করা যা কার্যকরভাবে জীবন বাঁচাতে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সংখ্যা কমাতে এবং সকলের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
বিএনএনআরসি জানায়, নির্বাচিত ২৫ জন ফেলো প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ এবং গবেষণা ও কনটেন্ট তৈরির জন্য সহায়তা পাবেন। তারা প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরি করবেন। বিএনএনআরসি’র সামগ্রিক লক্ষ্য হলো নিরাপদ সড়কের জন্য সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন।
জানা গেছে, ফেলোশিপ প্রাপ্তদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় এক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। এতে ২৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। ফেলোদের সহযোগিতার জন্য ৬ জন অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মেন্টর হিসেবে কাজ করছেন। ফেলোশিপের মূল লক্ষ্য হলো গণমাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা আইনবিষয়ক প্রতিবেদন বাড়ানো এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা। অংশীজনদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে আইন বাস্তবায়ন ও প্রয়োগে উৎসাহিত করা।
এসডিজি টার্গেট ৩.৬ অনুযাযয়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। টার্গেট ১১.২ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার স্থাপন করা হবে, যেখানে সড়ক দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য, যানবাহন সংক্রান্ত ডেটা, আহত ও নিহতের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে গতি সীমা ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে এবং ২০২৪ সালে প্রবর্তিত গতি সীমা নির্দেশিকার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে হেলমেট স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন বাস্তবায়ন ও তদারকি সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে।
২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিএনএনআরসি, একটি মিডিয়া ও ডিজিটাল উন্নয়ন সংস্থা। এটি বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক এবং চলমান মিডিয়া ও ডিজিটাল বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করে। সংস্থাটি জাতিসংঘের ইকোনমিক এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিলের-এর বিশেষ পরামর্শকের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দি ইনফরমেশন পুরস্কার বিজয়ী ও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার