নার্সিং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০
রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বিভাগের দুপক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর সিপাইপাড়া এলাকায় থাকা নার্সিং কলেজ চত্বরে এই হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষার্থীরা জানান, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ নানান দাবিতে আলাদা আলাদা ব্যানারে আন্দোলন করছে আসছেন বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে আজ কথা কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি আলাদা আলাদা ব্যানারে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে এক সভায় যান ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেখানে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে শুরু হয় উত্তেজনা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা কলেজের বাইরে এসে গেটে অবস্থান নেন।
এদিকে, বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা কলেজের গেট বন্ধ করে ভেতরেই অবস্থান নেন। এ সময় দফায় দফায় ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এক পর্যায়ে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের এক নারীর শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের এক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই গেট ভাঙচুর করা হয়। পরে শুরু হয় বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং দুই পক্ষের ইট ছোঁড়াছুঁড়ি। সেখানে হামলা, পাল্টা হামলা, মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরও উত্তেজনা থাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।