‘চামচামি সাংবাদিকতা’ বন্ধ করতে বললেন প্রেস সচিব
সাংবাদিকতার নামে ‘চামচামি’ বন্ধ করতে বললেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে জার্নালিজমটা (সাংবাদিকতা) পরিশুদ্ধ হোক। কেউ যেন চামচামি জার্নালিজম না করেন। চামচামি জার্নালিজম করে কারও কোনো ফায়দা হয় না। এতে হয়তো কারও পূর্বাচলে প্লট হয়, কেউ কেউ হয়তো বিদেশে তাদের ছেলে-মেয়ে পাঠাতে পারেন। ’
তিনি বলেন, ‘দেখেন, অনেক জার্নালিস্ট বিদেশে চলে গেছে। কেন বিদেশে গিয়েছে? কারণ বিশাল পরিমাণ টাকা সে বিদেশে নিয়েছে। তার বিদেশে টাকার সোর্স (উৎস) কি? একটা জার্নালিস্ট (সাংবাদিক) কয় টাকা ইনকাম (আয়) করে? আমি তো অনেক অনেক টাকা ইনকাম করতাম (সাংবাদিক হিসেবে)। তারপরও তো দেখা যায় যে বেশি সেভিংস তো হয় না। অনেকে (অনেক সাংবাদিক) ৩০০-৪০০ কোটি টাকা বানিয়েছে এবং যাদের অ্যাকাউন্টসে...যে নিউজগুলো আমরা দেখি যে অনেকগুলো টাকা। ’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা চাই যে জার্নালিজমের ফ্রিডম অব স্পিচটা (মতপ্রকাশের স্বাধীনতা) ইনস্টিটিউশনাল (প্রাতিষ্ঠানিক) হোক। প্রত্যেকটা পত্রিকা নিউজ ওয়েবসাইট, টিভি- তাদের অবশ্যই মতাদর্শ থাকবে কিন্তু রিপোর্ট যেটা করুক সেটা যে প্রো-পিপল হয়, মানুষের কথা বলে এবং পাওয়ারফুল পিপলকে অ্যাকাউন্টেবল করে। আপনার (সাংবাদিকের) কাজটা কী? পাওয়ারফুল পিপলকে অ্যাকাউন্টেবল করা, মানুষকে সঠিক তথ্য দেওয়া। এইটা যেন হয়। কেউ যেন ডিসইনফরমেশন না ছড়ায় এবং চামচামি যেন না হয়। ’
তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ ধরনের চামচামি হয়েছে গত ১৫ বছর, এবং এটার জন্য আমরা একটা কাজ করছি যে আমাদের জার্নালিজমের যে ফেইলুর ছিল গত ১৫ বছরে সেটা নিয়ে তো অলরেডি আমরা একটা কমিশন করেছিলাম, তারা একটা রিপোর্ট দিয়েছে, ভালো। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করব, এই রিপোর্টটা পড়তে। অনলাইনে আছে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
শফিকুল আলম বলেন, ‘আর সেমটাইম আমরা যেটা করছি, ইউএনকে (জাতিসংঘ) আমরা, ইউএন অফিসকে আমরা একটা চিঠি দিচ্ছি, এটা আজকালকের মধ্যে যাবে। চিঠিতে আমরা বলছি যে, তারা যেন একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক্সপার্ট নিয়ে এসে বাংলাদেশে জার্নালিজম কীভাবে ফেইলুর হয়েছে, গত ১৫ বছর, হাসিনার ১৫ বছর, কীভাবে জার্নালিস্টরা মানুষকে সত্যিকার অর্থে জঙ্গি ট্যাগ করে তাকে কিলিংয়ের বৈধতা দিয়েছে অনেকে। আছে না? এই কাজগুলো কারা করেছে?’
তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে একটা লোক, ভালো লোক এবং আমি জানি যে তার অ্যাগেইনেস্টে কোনো অভিযোগ নাই, তাকে আপনি জঙ্গি ট্যাগ করে দিলেন। এটার মানে কী? তাকে আপনি স্টেটের সিকিউরিটি এজেন্সিকে আপনি প্ররোচিত করছেন তার অ্যাগেইনেস্টে অ্যাকশন নিতে, তাকে মেরে ফেলতে। কাজগুলো তো হয়েছে। প্লাস আমাদের জার্নালিজমের তো অনেকগুলো ফেইলুর ছিল।’