‘একটি কালো ঘোড়া’য় আশীষ খন্দকার

বিনোদন প্রতিবেদক
১২ মে ২০২৫, ১৬:৪১
শেয়ার :
‘একটি কালো ঘোড়া’য় আশীষ খন্দকার

দেশের গুণী অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক, অনুবাদক আশীষ খন্দকার। সিনেমার পাশাপাশি নানান চমক নিয়ে তিনি হাজির হচ্ছেন ওটিটিতে। সরব আছেন মঞ্চেও। গেল বছর শেষদিকে তরুণ নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতির প্রথম সিনেমা ‘নয়া মানুষ’-এ দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। এবার একই নির্মাতার দ্বিতীয় সিনেমা ‘একটি কালো ঘোড়া (দ্য স্পিরিচ্যুয়াল ব্ল্যাক হর্স)’ও দেখা যাবে তাকে।

সিনেমার গল্প সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিলেন নির্মাতা। জানালেন, প্রাচীনকাল থেকে যুদ্ধ, মালামাল পরিবহন কিংবা কৃষিকাজে ঘোড়ার ব্যবহার অন্যতম। দেশের বিভিন্ন জেলাতেও দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সহযোগী ভূমিকা পালন করছে ঘোড়া, বিশেষ করে দুর্গম বালুচর তথা উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদীর পাড়ে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইতিমধ্যেই ঘোড়ার ব্যবহার অনেক কমে গেছে। কিন্তু এই পোষ্যপ্রাণীর সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন ধরে জড়িত, তাদের কাছে ঘোড়া অন্নদাতা। তেমনই একটা কালো ঘোড়ার গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।

বর্তমানে সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। চলতি বছর শেষদিকে শুরু হবে দৃশ্যধারণের কাজ।

সোহেল রানা বয়াতির কথায়, ‘তিস্তার অববাহিকায় দীর্ঘদিন ন্যায্য পানি না পাওয়ায় সেখানকার মানুষ ফসল ফলাতে পারছে না। আবার পানির অভাবে মাইলের পর মাইল রাস্তা আধুনিক যানবাহন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। উত্তরবঙ্গের এসব অঞ্চলে মানুষ ঘোড়া দিয়ে তাদের উৎপাদিত ফসল ও মানুষ পারাপার করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক কারণে প্রকৃতি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। একটি কালো ঘোড়া চলচ্চিত্রে আমরা এ বিষয়গুলো তুলে ধরতে চাই। এ রকম একটি চলচ্চিত্রে আশীষ খন্দকারের মতো একজন অভিনেতাকে নিতে চেয়েছি। তিনি এতে অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন। আশা করছি, দর্শক ভালো গল্পের একটি সিনেমা উপহার পেতে যাচ্ছেন।’

এদিকে, সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত আশীষ খন্দকারও। তিনি বলেন, ‘বয়াতির সঙ্গে ইতিপূর্বে “টিয়ার গপ্পো” (স্বল্পদৈর্ঘ্য) ও “নয়া মানুষ” চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। পরিশ্রম ও মেধার সমন্বয়ে সে দারুণ কাজ করতে চায়। একটি কালো ঘোড়া তার একটি নিরীক্ষাধর্মী কাজ। এতে থাকছে আমার একক অভিনয়। আমার সঙ্গী একটি ঘোড়া। আমি বিশ্বাস করি, সিনেমাটিতে সে যে মানবিক বিষয়টি তুলে ধরতে যাচ্ছে, তা দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলবে।’

নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি জানান, শুষ্ক ও বর্ষার ভরা মৌসুমে নতুন সিনেমার দৃশ্যায়ন করতে চান তিনি। আর শুটিং স্পটে বসেই লেখা হবে এর চিত্রনাট্য।