ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন কাশ্মীরিরা
চরম উত্তেজনার চার দিন পর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ফিরতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। গতকাল রবিবার থেকে পরিস্থিতি কিচুটা ভালো হলেও এখনো ভয়ে রয়েছেন তারা।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি হলেও বাংকারগুলোতে রসদ রেখে দিয়েছেন সেনারা। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দুনিয়া নিউজ।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষে কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষপর্যন্ত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। মানুষজন আপাতত নিজেদের বাড়িতে ফিরেছেন। তবে আশঙ্কা কাটেনি কারও।
চাকোঠির বাসিন্দা কালা খান বলেন, ‘ভারতের ওপর আমার কোনো বিশ্বাস নেই। আবারও হামলা হবে বলেই আমি মনে করি। এই এলাকায় বসবাসরতদের জন্য বাড়ির পাশে একটি করে বাংকার থাকা জরুরি।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
চাকোঠি এলাকা নীলম নদীর তীরে, যেটি দুই দেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সীমানা তৈরি করেছে। এখান থেকেই ভারতীয় সামরিক চৌকি দেখা যায়। কালা খানের আট সদস্যের পরিবার বিগত কয়েক রাত ও দিনের কিছু অংশ ২০ ইঞ্চি পুরু কংক্রিট ছাদের নিচে নির্মিত দুটি বাংকারে কাটিয়েছেন।
কালা খান বলেন, ‘যখনই ভারতীয় গোলাবর্ষণ শুরু হতো, আমি পরিবারকে নিয়ে বাংকারে চলে যেতাম।’ সেখানে তারা বিছানাপত্র, চাল-আটা, অন্যান্য খাবার ও কিছু মূল্যবান জিনিসপত্রও মজুত করে রেখেছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এলাকাটির এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, এলওসি বরাবর এক হাজারের বেশি বাংকার তৈরি হয়েছে, যার এক-তৃতীয়াংশ সরকার নির্মাণ করেছে।
চাকোঠির চারপাশে সবুজ পাহাড় আর আখরোট গাছের মাঝে ছায়াঘেরা পরিবেশ, তবে ৩০০ দোকানের অর্ধেকই বন্ধ, রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
মুজাফফরাবাদে মোতায়েন এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেখানে একটি মসজিদে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনে তিনজনকে হত্যা করেছে, রবিবার সকাল থেকে নতুন করে কোনো গোলাবর্ষণের খবর নেই।