বিয়ে বাড়ির খাবার গেল এতিমখানায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
১১ মে ২০২৫, ২০:২৬
শেয়ার :
বিয়ে বাড়ির খাবার গেল এতিমখানায়

বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন। রান্না-বান্নাও শেষ। এবার শুধু বর আসার অপেক্ষা। ঠিক এমন সময়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম। শুধু তাই নয়, কম বয়সে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করায় কনে পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আর রান্না করা খাবারগুলো পাশ্ববর্তী এতিমখানায় বিতরণ করে দেওয়া হয়।

আজ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে একই ইউনিয়নের বিনাউটি গ্রামের প্রবাসী বরের সাথে আজ বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ে উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। বর আসার সময় হয়ে এসেছে এমন সময় বেলা দেড়টার দিকে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধ করে দেন।

এ সময় কনের মাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ভ্রাম্যমান আদালতের এ খবর পেয়ে বর ও তাদের লোকজন পালিয়ে গেছে। বরযাত্রী ও মেহমানদের জন্য রান্না করা খাবারগুলো ব্রাহ্মণগ্রাম এতিমখানা ও সুন্নিয়া মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।

চন্ডিদার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী যাতে আগামীকাল স্কুলে যায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার এক শিক্ষককে দায়িত্ব দেন ইউএনও।

কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। এসময় মেয়ের মাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও বিয়ে বাড়ির রান্না করা খাবার স্থানীয় একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। তাছাড়া ওই ছাত্রী যাতে আগামীকাল থেকে স্কুলে যায়, সেবিষয়ে তার এক শিক্ষকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।’