আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাল খেলাফত মজলিস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। আজ রবিবার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ এ কথা জানান।
খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সময়োচিত, বাস্তবধর্মী এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছি। এই সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার অতীতের অবিচার ও নিপীড়নের বিচারিক পথ সুগম করল।’
দলটির নেতারা আরও বলেন, ‘গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের ওপর যে সীমাহীন নির্যাতন, হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন চালিয়েছে, তা ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস, বিরোধীমত দমন এবং ইসলামপন্থিদের ওপর অমানবিক হামলা, নির্যাতন-নিপীড়নসহ এমন অপরাধের বিচারকাজ নির্বিঘ্ন ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে হলে এই নিষেধাজ্ঞা অপরিহার্য ছিল।’
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘খেলাফত মজলিস মনে করে, জাতিকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে হলে অতীতের সব অপরাধের বিচার হওয়া আবশ্যক। আর এই বিচারের পথে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি বড় অগ্রগতি। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দ্রুত ফ্যাসিট হাসিনা, তার লেসপেন্সারদের এবং দল আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করুন। শাস্তি কার্যকর করুন।’
তারা আরও বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে রাজপথে থেকে যারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আন্দোলনরত সেই ছাত্র-জনতা, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের অভিনন্দন জানায়। আশা করছি, দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে এবং জাতীয় জীবনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার ফিরে আসবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?