এপ্রিলে সড়কে ঝরেছে ৫৮৮ প্রাণ, কোন বিভাগে বেশি?
বিদায়ী এপ্রিল মাসে দেশের সড়কে ৫৯৩টি দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ১২৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৮৬ জন নারী এবং ৭৮ জন শিশু রয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই বিভাগে ১৭৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৪ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে রংপুর বিভাগে। এই বিভাগে ৩১টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আজ রবিবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এপ্রিল মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদায়ী এপ্রিলে ২১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় আটজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে ৩৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৬ জন। তবে নীলফামারী জেলায় দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি হয়নি। রাজধানী ঢাকায় ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনা পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে ৫৮৭টি দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
প্রতিদিন গড়ে ১৯ দশমিক ৪৮ জন নিহত হলেও এপ্রিল মাসে এই সংখ্যা ১৯ দশমিক ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রাণহানি কমার লক্ষণ নেই। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতির কারণে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ জরুরি।
প্রতিবেদনে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতিকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ চালক তৈরি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানার বাধ্যবাধকতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ এবং আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি, মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।