চাল আমদানির প্রয়োজন নেই: খাদ্য উপদেষ্টা
দেশে প্রচুর পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদন হওয়ায় বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
আজ শনিবার কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে খাদ্য মজুদ ও বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গত বন্যায় আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা উল্লেখ করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করেছে। এই মৌসুমে বোরো ধানের ব্যপক চাষাবাদ হয়েছে। সরকার আশা করছে দেশে এইবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হবে।
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি কৃষকরা এখন ধান চাষের পাশাপাশি জুম, ভুট্টা, সবজি, হাঁস, মুরগি পালন ও মাছচাষসহ বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বহুমাত্রিক কাজেই তাদের জীবনমান আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।’
দেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। কৃষক হলো দেশ উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক। তারা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা যে ফসল ফলায়, তা দিয়ে আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের জোগান হয়। সার ও বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ফসল সংরক্ষণ ও এগুলোর ন্যায় সংগত মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।’
মতবিনিময় সভায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুগতি চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, কাপ্তাই উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বখতিয়ার মিয়া, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্ণফুলী, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও অনুসন্ধান বিভাগের সহকারী পরিচালক সাখওয়াত কবির উপস্থিত ছিলেন।