রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের মামলায় জবি শিক্ষার্থী রিমান্ডে

জবি প্রতিনিধি
০৯ মে ২০২৫, ২১:৪৮
শেয়ার :
রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের মামলায় জবি শিক্ষার্থী রিমান্ডে

রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকার বৃহস্পতিবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আদালতে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. শাহিনুর রহমান।

রিমান্ডে নেওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মিজানুর রহমান। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

গত বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশের পোশাকে তাকে আটক করা হয় বলে জানা যায়। ঘটনার পরপরই পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশপাশের থানায় খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি।

পরবর্তীতে জানা যায়, মিজানুরকে ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত এবং সংগঠনটির পক্ষে প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।

কাউন্টার টেরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রিমান্ড আবেদন সূত্রে জানা যায়, ‘Come Out for Save Gaza’ ও ‘Protest Rally’ নামের কর্মসূচির প্রচার চালান, যা সহিংসতা উস্কে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়েছিল।

তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে উগ্রপন্থী ও রাষ্ট্রবিরোধী কনটেন্টের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে হিজবুত তাহারীর সংগঠনের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

মিজানুরের বড় ভাই সাজু রহমান বলেন, ‘তাকে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে নারিন্দার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন দিন কোনো খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তার নামে মামলা হয়েছে। আমরা তার ন্যায়বিচার চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘প্রথমে তার অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। পরে জানতে পারি, তাকে রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

মামলার বিষয় জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাশৈনু বলেন, ‘মামলাটি আমি এখানে আসার আগে হয়েছে। মামলাটি ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত হলেও এর তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার থেকে ভালো বলতে পারবে।’