মৌলভীবাজার সীমান্ত থেকে আরও ১৫ ভারতীয় আটক

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
০৮ মে ২০২৫, ২০:১৪
শেয়ার :
মৌলভীবাজার সীমান্ত থেকে আরও ১৫ ভারতীয় আটক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে উপজেলার ধলই সীমান্তে প্রবেশকালে তাদের আটক করা করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ টি শিশু রয়েছে। এর আগে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে গতকাল খাগড়াছড়ির তিনটি সীমান্ত দিয়ে ৮১ জন এবং কুড়িগ্রামের রৌমারি সীমান্ত দিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ৩০ জনকে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, পাঁচ বছর ধরে তারা ভারতের আসামে বসবাস করছেন। হঠাৎ ভারতীয় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিক ভাণ্ডার এলাকায় নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। তাদের বাড়ি নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।

আটক ব্যক্তিরা আরও জানান, তাদের সঙ্গে আরও অনেকে ছিলেন। এই সংখ্যা তিন শতাধিক হবে। বিএসএফ তাদের কয়েকজনকে কমলগঞ্জের দলই সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। তবে অন্যদের কোন সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারেননি।

মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা রানী দেব জানান, আটক লোকদের প্রথমে বিজিবি ক্যাম্প থেকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তাদের আর থানায় নেওয়া হয়নি।

মাধবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ণ শীল বলেন, ‘বিএসএফ ১৫ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। বিজিবি তাদের আটক করে নিয়ে গেছে। ’

শ্রীমঙ্গলের ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আটক ব্যক্তিরা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছেন। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার পর মৌলভীবাজার জেলার সব সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন মারফতে শুনেছি বিজিবি ১৫ জনকে আটক করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত থানায় হস্তান্তর করেনি।’

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ‘এ বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’