ঢাকা ইপিজেডে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নিদর্শন স্থাপন করল বাপবিবো

অনলাইন ডেস্ক
০৮ মে ২০২৫, ১৯:০৬
শেয়ার :
ঢাকা ইপিজেডে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নিদর্শন স্থাপন করল বাপবিবো

ঢাকা ইপিজেডে গ্রাহকবান্ধব নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে যুগান্তকারী নিদর্শন স্থাপন করল বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো)। গত ২৮ এপিল তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে ঢাকা ইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কে ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেন। 

এ সময় বাপবিবোর চেয়ারম্যানের দ্রুত নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিইপিজেডের ভেতরে অবস্থিত ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ২টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান ও আবাসিক এলাকায় ঐ দিনই ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। পরেরদিন সকাল সাড়ে ৯টায় কবিরপুর গ্রিড উপকেন্দ্রে ডিইপিজেড ৩৩ কেভি ও নয়ারহাট ৩৩ কেভি ফিডারের মাধ্যমে ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্টের বাসবার ব্যবহার করে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

জানা গেছে, স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গত ১ মে ডিইপিজেড সাব-স্টেশন-১ এ নতুন ২টি ১০/১৪ এমভিএ পাওয়ার ট্রান্সফরমার ও অন্যান্য ইকুপমেন্ট স্থাপন করে ৬টি ১১ কেভি ফিডারের মাধ্যমে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। পরদিন গত ২ মে ডিইপিজেড সাবস্টেশন ২ এ নতুন ২টি ১০/১৪ এমভিএ পাওয়ার ট্রান্সফরমার ও অন্যান্য ইকুপমেন্ট স্থাপনপূর্বক গত ৩ মে ৭টি ১১ কেভি ফিডারের মাধ্যমে ৩টি ১০/১৪ এমভিএ পাওয়ার ট্রান্সফরমার হতে ২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রায় এগার কোটি টাকা ব্যয় হয়।

এছাড়া বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও কাযক্রম গ্রহণ করা হয়। গত ৫ মে থেকে সাভার গ্রিড উপকেন্দ্র হতে আরও ১টি ৩৩ কেভি ফিডারের মাধ্যমে ডিইপিজেড-১ উপকেন্দ্রে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ডিইপিজেড-১ উপকেন্দ্রে কবিরপুর গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ডিইপিজেড ৩৩ কেভি ফিডারকে বিকল্প সোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে এবং ডিইপিজেড-২ উপকেন্দ্রে আশুলিয়া ৩৩ কেভি ফিডারকে বিকল্প সোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে।

ডিইপিজেডে ভোল্টেজ নির্দিষ্ট মানে রাখার জন্য প্রতিটি পাওয়ার ট্রান্সফরমারের সঙ্গে অটো ট্যাপচেঞ্জার স্থাপন করা হয়েছে। তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে ডিইপিজেডে ২ জন এজিএম (ওএন্ডএম), ১ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবং ৬ জন লাইনম্যানকে যথাসময়ে নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে উপকেন্দ্রসমূহে অবস্থান করে দায়িত্ব পালন করছেন। ডিইপিজেডের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে সরবরাহ করতে গিয়ে ডিইপিজেডের আশপাশের এলাকায় সাধারণ জনগণ বিদ্যুৎ না পেয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে মর্মে পত্র পত্রিকায় যে খবর এসেছে তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তবে কিছু সময় উক্ত এলাকায় কাজের স্বার্থে লোড শেডিং করতে হয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জিয়া-উল আজিমের যুগান্তরকারী নেতৃত্বে বাপবিবো ও ঢাকা পবিস-১ এর সমিতি ব্যবস্থাপনার নিরলস প্রচেষ্টায় দ্রুততম সময়ে ও দক্ষতার সঙ্গে ঢাকা ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন অব্যাহত রাখার এক যুগান্তরকারী দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। দেশের উন্নয়নে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন অব্যাহত রাখার যে উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন তা অনুসরনীয় এবং প্রসংশার দাবিদার। ভবিষ্যতে বিদ্যুতের যে কোনো বিপর্যয়ে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।