আবদুল হামিদের দেশ ছাড়া নিয়ে যা জানাল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর গতকাল বুধবার গভীর রাতে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এর পরই প্রশ্ন উঠেছে, জুলাই আন্দোলনকেন্দ্রিক একটি হত্যা মামলার আসামি হয়েও কীভাবে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার করতে সক্ষম হলেন তিনি?
অবশ্য এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই ব্যাখ্যা দিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, মূলত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন আবদুল হামিদ। দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে যেতে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন আবদুল হামিদ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সূত্রটি জানায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অন্তত একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
১৪ জানুয়ারি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ওই মামলা হওয়ার আগে কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করে প্রায় অর্ধশত মামলা হয়। তবে সেই মামলাগুলোর কোনোটিতেই আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ প্রথম মেয়াদে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকার দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ।এরপর নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি।