লাইসেন্স ছাড়া চলছে হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক
০৫ মে ২০২৫, ১৫:৪৯
শেয়ার :
লাইসেন্স ছাড়া চলছে হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান

দেশে হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়া চলছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ৩২২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে তারা। ওই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ১৫ হাজার ২৩৩টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করেছে মাত্র ৪ হাজার ১২৩টি। আর ১ হাজার ২৭টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। এটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল ও আইন লঙ্ঘনের মাত্রা অত্যন্ত উদ্বেগজনক, যা রোগীদের নিরাপত্তা ও পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতের দুর্বলতা প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারিখাতের লাইসেন্সিং এবং চিকিৎসা অবহেলা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জগুলো জটিল।

স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বলা হয়, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অনুমতি নিতে গিয়ে মালিকদের বারবার বিভিন্ন অফিসে যাতায়াত করতে হয়। লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর চাহিদা প্রসঙ্গে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিবেশ লাইসেন্স চায়, অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর প্রথমে হাসপাতাল লাইসেন্স চায়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফি বেড়ে যাওয়ায় ছোট ক্লিনিকগুলো লাইসেন্স করতে আগ্রহ হারাচ্ছে।

স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স পেতে বিলম্বের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অনেক সময় কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ২-৩ বছর পর্যন্ত লাইসেন্স পেতে বিলম্ব হয় এবং অননুমোদিত অর্থের দাবি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।