ভারত পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে: মির্জা আব্বাস

রংপুর প্রতিনিধি
০৪ মে ২০২৫, ২০:২৮
শেয়ার :
ভারত পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে: মির্জা আব্বাস

ভারত পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ রবিবার বিকেলে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজিত গনপদযাত্রার আগের সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন,‘পানি কখনো মারণাস্ত্র হতে পারে নাহ। পানি কখনো যুদ্ধাস্ত্র হতে পারে নাহ। ভারত পানিকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। কতটুকু অমানবিক হলে তারা এই কাজ করতে পারে। আজকের এই গনপদযাত্রার মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানতে পারবে ভারত আমাদের পানির অভাবে কি কষ্ট দিয়েছে। শুধু তিস্তা নয় সারা বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি ভারত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিস্তা একটা উদাহরণ মাত্র। তারা তিস্তা বন্ধ করেছে,ফারাক্কা বন্ধ করেছে। আমরা অনেক আগেই এই পানি আদায় করতে পারতাম। যদি হাসিনার মতো একটা চাটুকার সরকার বাংলাদেশে না আসত। এই পানি নিয়ে তারা কোনো দিন কথা বলে নাই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা চোখের পানিতে কারও কাছে কিছু চাইব নাহ। বকশিশ চাই না, ভিক্ষা চাই না। আমাদের হিসেবের পাওনা দিতে হবে। আজকে না হোক কাল,কাল না হোক পরশু দিতে হবে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এই আন্দোলন থামবে না। শুধুমাত্র আমরা একটা সরকারের অপেক্ষায় আছি। যে সরকার দেশের মানুষের ভাষা বুঝতে পারবে। যে সরকার মানুষের দাবি দাওয়া পূরণের সক্ষমতা রাখবে। কিছুদিন আগে যে সরকার ছিল সে কিছুতেই দাবি-দাওয়া পূরণের সক্ষমতা রাখত না। কোন ক্ষমতা রাখলেও যেহেতু তাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে তাই পূরণ করেননি।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের কাছে কি ভারতের কোনো দেনা পাওনা নেই। অনেক অনেক অনেক কিছু আছে। ভুলে যাবেন নাহ। আমাদের কাছে ট্রানজিট আছে আপনাদের, পোর্ট আছে। মংলা পোর্ট আছে, চট্টগ্রাম পোর্ট আছে। প্রয়োজনে আমরা এসব হিসেব নিকেশ করব। আমাদের যেখানে প্রয়োজন আছে সেখানে আমরা ছাড়ব না। আমাদের তিস্তার পানি চাই দিতে হবে, ফারাক্কার পানি চাই দিতে হবে, দিতে হবে যেখানে যেখানে পানির প্রয়োজন দিতে হবে। যেখানে অভিন্ন নদীর পানি আছে, দিতে হবে হিসেব মতো।’

এসময় তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সঞ্চালনা করেন রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু ও মহানগর শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু। এ সময় পাঁচ জেলার বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গণপদযাত্রায় লালমনিরহাট,নীলফামারী,কুড়িগ্রাম,গাইবান্ধা ও রংপুরের তিস্তা পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।