সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের ল্যাপটপ ভেঙে মারতে গেলেন চিকিৎসক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার টেবিলে থাকা ল্যাপটপ ভাঙচুর করেন প্রতিষ্ঠানটির কনসালটেন্ট ডা. আহসান হাবিব। পরে ওই ল্যাপটপটি দিয়েই তত্ত্বাবধায়ককে আঘাতের চেষ্টা করেন তিনি।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে উপস্থিত হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তদন্ত কমিটি গঠনের পর ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে যান হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আহসান হাবিব। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তত্ত্বাবধায়কের টেবিলে থাকা ল্যাপটপ ভাঙচুর করেন আহসান হাবিব। এছাড়াও উত্তেজিত হয়ে তিনি ওই ল্যাপটপটি দিয়ে তত্ত্বাবধায়ককে আঘাতের চেষ্টা করেন। এ সময় হাসপাতালের অন্য চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ পারভেজ বলেন, হাসপাতালে দুইজন রেডিওলোজিস্ট রয়েছেন। প্রতিদিনই হাসপাতালে আসা রোগী ভাগাভাগি করে দেয়া হয় তাদের দুইজনকে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আহসান হাবিব উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে টেবিলের ওপর থাকা ল্যাপটপ ভাঙচুরসহ তিনি আমাকে আঘাত করতে আসে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান মাসুদ পারভেজ।
অভিযুক্ত আহসান হাবিবের দাবি, হাসপাতালে তিন বছরের বেশি ধরে তিনি নানানভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এসব বিষয়ে কথা বলার সময় তত্ত্বাবধায়ক গুরুত্ব না দেওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। এ সময় তত্ত্বাবধায়কের লোকজন আমার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করে বলেও জানান তিনি।
আহসান হাবিব অভিযোগ করেন, পদন্নোতির পরও তাকে আলাদা চেম্বার দেওয়া হয়নি। এমনকি তার নেমপ্লেটও নেই। এসব বিষয় নিয়েই তিনি কথা বলতে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে যান।
ঘটনার পর স্বাস্থ্য বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং লিখিত অভিযোগ নেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় ৫-৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।