শিগগির শেষ হচ্ছে না ইউক্রেন যুদ্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগির শেষ হচ্ছে না। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এখন মূল প্রশ্ন হলো, যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে একটি সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করতে পারে। খবর বিবিসির।
জেডি ভ্যান্স বলেন, এ নির্মম যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চূড়ান্তভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেনকেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। তিনি এমন এক সময়ে এ মন্তব্য করলেন যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন খনিজ সম্পদের লভ্যাংশ ভাগাভাগির একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় ভবিষ্যতে নিরাপত্তা সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র এই খনিজ সম্পদের মুনাফায় অংশীদার হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘সমতাভিত্তিক’ বলার পরই আবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নেওয়া অবস্থানকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই ইউক্রেনবাসীরা রাগান্বিত, তাদের দেশ আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কি কয়েক মাইল ভূমির জন্য হাজার হাজার সেনা হারিয়ে যেতে দেব?
সম্প্রতি ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউক্রেন হয়তো ক্রিমিয়া রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হতে পারে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পরিষ্কার করেছেন, ইউক্রেনীয় সংবিধানের কারণে রাশিয়ার হাতে ক্রিমিয়া ছেড়ে দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অচিরেই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বড় কোনো অগ্রগতি না হলে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সংকটের জন্য সময় ব্যয় করা কমিয়ে দিতে পারেন।
জেলেনস্কি গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া ঐতিহাসিক খনিজ সম্পদ চুক্তিটি উভয় পক্ষের জন্যই ‘সমান সুযোগ’ সৃষ্টি করেছে। যদিও এতে কিয়েভের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
জেলেনস্কির এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই রাশিয়া ইউক্রেনের শিল্পনগরী জাপোরিঝঝিয়ায় বড়সড় ড্রোন হামলা চালায়। হামলায় সোভিয়েত যুগের একটি আবাসিক ভবন লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এতে আহত হয়েছেন ১৪ জন। দীর্ঘ কয়েক মাসের আলোচনা শেষে গত বুধবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির অধীনে দেশ দুটি যৌথভাবে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের উন্নয়ন এবং এ খাতে বিনিয়োগ করবে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ধাপের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে এখনো কোনো ধরনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘আমরা বিদ্যমান কোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছি না। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিটি পদক্ষেপ কূটনৈতিকভাবে নেওয়ার পক্ষে।’