অটোচালক হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়া প্রতিনিধি
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১৮
শেয়ার :
অটোচালক হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর আলী পিয়াল হত্যা মামলার পাঁচ বছর পর দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আবু হানিফ এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার আদালত পুলিশ পরিদর্শক (কোর্ট) মোসাদ্দেক হোসেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হান্নান এবং একই এলাকার দুলু খানের ছেলে রাশেদ খান। এছাড়া দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার নুরুন্নবী মুন্নাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামিরা।

মামলা সূত্রে জানা জায়, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মহিদুল ইসলাম খোকার ছেলে পিয়াল ২০২০ সালের ২১ মার্চ অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। ২৮ মার্চ বিকালে শহরতলির বড় কুমিরা হিন্দুপাড়ার কবরস্থানে তার গলিত মরদেহ পাওয়া যায়। লাশ শনাক্তের পর তার বাবা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত চলাকালে হত্যায় জড়িত সন্দেহে রাশেদ ও হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে দুই জনেই হত্যার দায় স্বীকার করেন। তারা জানান, অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে নেশার প্রলোভন দেখিয়ে গত ২১ মার্চ রাতে পিয়ালকে তার অটোরিকশা নিয়ে বড় কুমিড়া গ্রামে বিএড কলেজের পিছনের বাঁশবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মাদক সেবন করে।

একপর্যায়ে তারা ইট দিয়ে পিয়ালের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারা যান। তারা মরদেহ পাশের কবরে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। ওই রাতেই রিকশাটি ঘোড়াঘাটে নিয়ে বিক্রির জন্য মুন্নার কাছে রেখে আসেন। তাদের কাছ থেকে পিয়ালের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই রিকশার ক্রেতা নুরুন্নবী মুন্নাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

মোসাদ্দেক হোসেন জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আদালত সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।