কলকাতায় আবাসিক হোটেলে আগুন, নিহত ১৪
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বড়বাজারে একটি আবাসিক হোটেলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দগ্ধ হয়েছেন আরও অনেকে।
এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে কলকাতার ঋতুরাজ হোটেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত ১৪ জনের মধ্যে বেশির ভাগের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, ওই হোটেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ আগুন লাগে। বড়বাজারের মেছুয়া বাজার এলাকার ফলপট্টির ওই হেটেলের অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছুটে যায় দমকলের ১১টি ইঞ্জিন। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এরপর গভীর রাত পর্যন্ত চলে তৎপরতা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে হোটেলের ভেতরে ধোঁয়া ছড়াতে থাকে। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা এসে কাঁচ ভেঙে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার পর হোটেলের ভেতরে থাকা সবাইকে উদ্ধার করা গেছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
আরও জানা গেছে, আগুন আতঙ্কে অনেকেই হোটেলের বহুতল থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই আহত হয়েছেন অনেকে। অনেককে হোটেলের সিঁড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা।তিনি বলেন,‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রাত প্রায় ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ ঘটেছে। ১৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। টিম অনেককে উদ্ধার করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।’
আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে মনোজ ভর্মা বলেন, ‘বাকি তদন্ত চলছে। তদন্তের জন্য স্পেশ্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতাল এবং নীল রতন সরকার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগুনের ঘটনার পরপরই রাজ্য প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করতে তিনি অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোর নজরদারি করার আহ্বান জানান।