ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের প্রয়োজন নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের প্রয়োজন নেই

ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের প্রয়োজন নেই বলে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি। দল দুটি মনে করে, ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পক্ষে একমত পোষণ করেন নেতারা। গতকাল রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মিত্র দল বিজেপির সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে আরও অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু। বিজেপির পক্ষে দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বে মহাসচিব মতিন সউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মোস্তফা তামজিদ, ওয়াশিকুর রহমান, সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, সোহেল আসিফ, এবিএম আজিজুল হক, গোলাম রাব্বানী প্রমুখ অংশ নেন।

গত ১৯ এপ্রিল থেকে বিএনপি তার মিত্র দলগুলোর সঙ্গে এই ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করে। এ পর্যন্ত তারা ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, সিপিবি, বাসদ,

লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএম, গণফোরাম, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং জন অধিকার পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, সবাইকে একমত হতে হবে- এটা যারা চিন্তা করে এটা বাকশালী চিন্তা। কারণ বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দর্শন, বিভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন মত থাকবে। বিষয়টা হচ্ছে, যেখানে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর বাইরে সংস্কার করার সুযোগ নেই। এর বাইরে যেটা করতে যাবে সেটা আপনার ডেমোক্রেটিক ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে- জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে।

স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, যেগুলো (সংস্কার প্রস্তাব) নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে- এই বিষয়গুলো জাতির সামনে কেন তুলে ধরা হচ্ছে না, এটাই প্রশ্ন। এটার জন্য এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগে না। কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, জাতি জানুক এবং তার ভিত্তিতে আমরা সনদ সই করে দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই। নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ায় জনগনের মধ্যে যে সংশয়, উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে- এটা আগামী দিনের নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে আশ্বস্ত করতে হবে- জাতি গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে।

আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, যেই সংস্কারের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে; তা নিয়ে ন্যাশনাল সনদ করে নির্বাচনমুখী হলেই হয়। ৫০টি রাজনৈতিক দলের অনেক বিষয়ে অনেক রকম মত থাকতেই পারে। তার ওপর ভিত্তি করে একমত হব, এই চিন্তা করে নির্বাচনকে পিছিয়ে নিতে পারেন না। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব। কালক্ষেপণ না করে নির্বাচনী রোডম্যাপটা এখন জনগণের দাবি।