জুলাই শহীদের মেয়ের আত্মহত্যা /
পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’
চব্বিশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত এক শহীদের মেয়ে (১৭) সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে তাকে দ্রুত সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধিদল ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন ও সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে শহীদের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই কলেজছাত্রীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে। সে গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর থেকেই ওই ছাত্রী মারাত্মক মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিল। সামাজিক লজ্জা, চাপ ও বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ হয়ে পড়ে সে। সর্বশেষ এসব চাপ সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে দাবি পরিবারের।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় তার মেয়ে। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলে।
এরপর ভুক্তভোগী তার মা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ মার্চ থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়।