চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ৫ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আনন্দবাজার হাটে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শতাধিক দোকান বন্ধ করে ৫ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহতদের সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সাপ্তাহিক হাটে এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আনন্দবাজার হাটে স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সাপ্তাহিক হাটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় সোনারগাঁও থানায় আনন্দবাজার বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাদি হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ঐতিহাসিক আনন্দবাজার হাটে দক্ষিণ দামোদরদী গ্রামের মোতালেব মিয়ার নেতৃত্বে হাবিবুর রহমান, মহসিন মিয়া, বাবু মিয়া, ফয়সালসহ ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড, ছোড়া নিয়ে বিভিন্ন দোকানে গিয়ে প্রতি দোকান থেকে সপ্তাহে এক হাজার টাকা করে দাবি করে। ওই সময়ে ব্যবসায়ীরা বাজার সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী ইমন মিয়া, সাইফুল ইসলাম, অনিক মিয়া, রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে চাঁদাবাজরা। আহতদের সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ সময় চাঁদাবাজরা টাকা না পেয়ে হাটের শতাধিক দোকান বন্ধ করে দেয়।
মামলার বাদি আব্দুর রহমান বলেন, 'মোতালেবের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল বিভিন্ন সময়ে বাজারে এসে তাদের টাকা দিতে হুমকি দিচ্ছিল। পরে বাজার কমিটি সভা করে সিদ্ধান্ত নেন তাদের কোনো প্রকার চাঁদা দেওয়া হবে না। পরে দুপুরে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে মারধর ও দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
অভিযুক্ত মোতালেব মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এক বছরের জন্য আমরা এ হাট ইজারা নিয়েছি। হাটের মধ্যে অবৈধ কারন্টে জালের ব্যবসা করতে বাধা দেয়ায় তারা নিজেরাই দোকান বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। হাটের মধ্যে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।