বেরোবিতে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের পদত্যাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও ফলাফল টেম্পারিংয়ে অভিযুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবন তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশীদ তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর ইমেইলে অভিযোগপত্র জমা দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক ভুক্তভোগী সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন- 'রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তানজিউল ইসলাম আমাকে (ছাত্রীকে) নানাভাবে হেনস্তা ও মানসিক নির্যাতন করেছে। তিনি বিভিন্ন সময় বাজে ইঙ্গিত দিয়েছেন, অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন। ঘটনাক্রমে তার ও এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পারি। তাই আমাকে তার নিজস্ব চেম্বারে ডেকে অপমান করেন ও হুমকি দেন। অন্যান্য শিক্ষকের কোর্সে ভালো করলেও তার ফাঁদে পা দেইনি, তাই আমার ফলাফল খারাপ করে দেন। তার মানসিক নির্যাতন ও হয়রানির কারণে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলাম পরে পরিবারের কথা ভেবে ফিরে আসি।'
তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'আমি ভেবেছিলাম তিনি থামবেন কিন্তু পরিবর্তন হননি। এখনো রেজাল্ট টেম্পারিং ও নারী শিক্ষার্থী হয়রানির কথা শুনে হতাশ হয়ে পরি। আমার বিভাগে আর কোনো ছোট বোন যেন তার লালসার শিকার না হয় যে জন্য প্রমাণসহ অভিযোগ প্রদান করছি। দ্রুত যেন ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়।'
এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল ইসলাম বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি চাই তদন্ত প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ না হোক।'
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন-অর- রশীদ বলেন, 'রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্রী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেজাল্ট টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছে। সেই অভিযোগ তদন্তের জন্য প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনের তদন্তের স্বার্থে তিনি (তানজিউল ইসলাম) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।'