আ. লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয়: সারজিস

অনলাইন ডেস্ক
২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১৮
শেয়ার :
আ. লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয়: সারজিস

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তুললে সরকার পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয় দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত শহীদি সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।  

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানের কথা তুলে ধরে সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা যখনই তাদের কাছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তারা আমাদের পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়। যখন শাপলা চত্বর, পিলখানা এবং জুলাইয়ে হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় ছিল?’

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে এনসিপির এ নেতা বলেছেন, ‘এই জেনারেশনকে (প্রজন্ম) ভয় করুন। যদি এই জেনারেশনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আবেগ নিয়ে খেলা করেন, তাহলে এই জেনারেশন সকল ক্ষমতার বিপক্ষে গিয়ে যে কাউকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারে।’

সমাবেশে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) প্রধান উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। জুলাইয়ে আমরা আওয়ামী হায়েনাদের ভয় পাইনি। সুতরাং এখনো কোনো অপশক্তি আমাদের থামাতে পারবে না। সরকারকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় আপনাদের টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।’

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, গত ১৬ বছরে যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তার কোনোটির বিচার করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, অনতিবিলম্বে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দল নই। আমার পরিবারের কেউ শহিদ হয়নি, কিন্তু আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, ইনকিলাব মঞ্চের একজন সদস্য বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করে ছাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘শহিদ জিয়ার বিএনপি, সাঈদী-নিজামীদের জামায়াতে ইসলামী কিংবা জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত এনসিপিকে দিল্লির দাসত্বে আটকাতে দেব না। ইনকিলাব মঞ্চ রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত প্রতিবাদ করে যাবে।’

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ, শাপলা গণহত্যার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জাতিসংঘের সহায়তায় শহিদদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ ও বিচার নিশ্চিত করা, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ এবং সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা উল্লেখ করার দাবি জানানো হয়।