ফুলবাড়ীতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাতেমা আক্তার (১১)। ওই গ্রামের নুর হোসেন-তুলি বেগম দম্পতির একমাত্র কন্যা সে। ফাতেমা বালারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুর হোসেন চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। ১১ বছরের ফাতেমা এবং সাত বছরের একটি ছেলে সন্তানসহ বাড়িতে থাকেন তুলি বেগম।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ কুড়াতে যান তুলি বেগম। মাছ নিয়ে এসে আবারও ছাগলের জন্য পাতা আনতে বাইরে যান তিনি। পাতা নিয়ে বাড়িতে এসে ফাতেমাকে ডাক দিলে মেয়ের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পান আঁড়ার সঙ্গেমমেয়ের নিথর দেহ ঝুলছে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামান।
খবর পেয়ে কুড়িগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মোজাম্মেল হক ও ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পরে সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর জন্য ফুলবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়।
নিহত শিক্ষার্থীর মা তুলি বেগম (৩৬) জানান, মাছ কুড়িয়ে এনে ঘরে রাখার সময়ও ফাতেমা ঘরে ছিল। তাকে বাড়িতে রেখে ছাগলের খাবারের জন্য পাতা আনতে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না গলায় পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলছে। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে ঝুলন্ত মরদেহ নামান।
এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মোজাম্মেল হক জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য মরদেহ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে।
