জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ
ই-পার্লামেন্টের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ওপর একটি উদ্বোধনী কর্মশালায় বক্তারা বাংলাদেশে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ এবং জনগণমুখী সংসদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটালাইজেন এর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বক্তারা বলেন, জনগণমুখী একটি সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহায়তায় আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের ‘স্ট্রেনদেনিং ইন্সটিটিউশনস, পলিসিসি এন্ড সার্ভিসেস (SIPS)’ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত এই উদ্যোগটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, বিশেষ করে এসডিজি ১৬: শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং এসডিজি ৫: জেন্ডার সমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি বলেন, ‘একটি সংসদকে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে, এটিকে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং জবাবদিহিমূলক হতে হবে। ই-পার্লামেন্ট এর উদ্যোগ জনগণের আস্থা পুনর্নির্মাণ এবং সংসদীয় মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ, যা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত। কিন্তু এই উদ্যোগে সফল হওয়ার জন্য, আমাদের অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকৃত প্রতিনিধিদের সংসদে নিয়ে আসতে হবে।’
বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, ‘এটি কেবল অবকাঠামোর বিষয় নয় - এটি প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডিজিটালাইজেশন কেবলমাত্র একটি বাহন, যার গন্তব্য একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত সংসদ, যা গণতন্ত্রের আদর্শকে ধারণ করে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপি দীর্ঘস্থায়ী সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়কে সহযোগিতা করতে পেরে গর্বিত।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত) কোরিন হেনচোজ পিগনানি। তিনি বলেন, ‘সংসদীয় কার্যক্রমকে আরও জনগণমুখী করে তোলাই নাগরিকদের সেবা দেওয়ার সর্বোত্তম উপায়। এ ধরনের উদ্যোগ জনগণের সঙ্গে সংসদের সংযোগকে আরও মজবুত করবে।’