বেগমগঞ্জে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ

বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৫২
শেয়ার :
বেগমগঞ্জে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধর করে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই শিক্ষক পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

গতকাল বুধবার দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে । ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী ওই স্কুলে বিগত ১১ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। 

ইউনুস নবী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২৪ অক্টোবর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একদল লোক তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর আদায় করেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনার কারণে পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়নি। তবে ওই ঘটনার পর থেকে মান সম্মানের ভয়ে তিনি বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন না। সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেন তার পছন্দের একজনকে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন।’ 

ইউনুস নবী জানান, এ ঘটনায় তিনি বেগমগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত ওই পদত্যাগপত্রের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে যান। 

তিনি বলেন, ‘বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের ছোট ভাই একরাম হোসেনসহ একদল লোক অফিস কক্ষে ঢুকে অতর্কিতে আমার ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা আমার পরনের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।’

বর্তমানে ওই শিক্ষক ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুক্তার হোসেন বলেন, ‘ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় তার ওই অনিয়ম ধরা পড়েছে। যার কারণে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হলে তিনি পদত্যাগ করেন। বুধবার তিনি সন্ত্রাসী নিয়ে বিদ্যালয়ে গেলে এলাকার লোকজন তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান।’

তবে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা কিংবা তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন মুক্তার হোসেন। 

ওই বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই প্রধান শিক্ষক তাকে মারধর ও জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলার কথা জানিয়েছেন। এর আগে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আদালতে মামলা করেছেন। আদালত কী রায় দেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ 

এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষের করা অভিযোগের তদন্ত চলছে বলেও জানান ইউএনও।