‘মওলানা ভাসানী’কে খুঁজছেন নির্মাতা
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব। যিনি আমৃত্যু কৃষক, শ্রমিক, জেলে, মজুর, কামার-কুমার, তাঁতি ও খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে গেছেন। আর এজন্য ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে হয়েছেন সম্মানিতও।
এদিকে, তার জীবনী রুপালি পর্দায় তুলে ধরতে সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন নির্মাতা সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। তাও অনেক আগের কথা। বলা হয়েছিল, আসছে মে মাসে শুরু করবেন সিনেমার কাজ। তবে শিল্পী চূড়ান্ত না হওয়ায় পিছিয়েছে শুটিংয়ের সময়।
বাংলাদেশের অভিনেতাকে ভাসানী হিসেবে চান ডায়মন্ড। আর এই মজলুম জননেতা চরিত্রের সঙ্গে যায় এমন কাউকে এখনও খুঁজে পাননি তিনি। সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বলেন, ‘এ বছর ১৬ মে ফারাক্কা দিবসে শুরু করতে চেয়ে ছিলাম শুটিং। সেভাবে সবকিছু ডিজাইন করে ফেলেছি। মুল সমস্যা হচ্ছে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী হিসেবে অভিনয় করবেন এমন কাউকে এখনও পাচ্ছি না। তাই আরও একটু সময় নিতে হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি শিল্পী তালিকা ঘোষণা করব।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
নির্মাতা আগেই জানিয়েছেন, মওলানা ভাসানীর ১৩ বছর বয়স থেকে সিনেমার গল্প শুরু করবেন। এতে ভাসানী চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনজন অভিনেতা। অবশ্য এখনও কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি। প্রয়োজনে অডিশনের মাধ্যমে নিতে চান নতুন মুখ।
নির্মাতা বলেন, ‘ভারতের বেশ ক’জন শিল্পীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তবে কাউকেই ভাসানীর চরিত্রে পারফেক্ট মনে হয়নি। কারো মধ্যেই ভাসানীকে ধারণ করার মতো সামর্থ দেখিনি। সেজন্য সিদ্ধান্ত বদলেছি। বাংলাদেশের শিল্পীরাই ভাসানীকে নিখুঁতভাবে ধারণ করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে। কয়েকজন অভিনেতার সঙ্গে আলাপ করেছি। দ্রুতই কাউকে চূড়ান্ত করব।’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
ডায়মন্ড আরও বলেন, ‘সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে এই অঞ্চলে মওলানা ভাসানী একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার অনেক কীর্তি ও গল্প নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা। সেই ভাবনা থেকেই সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। আশা করি, এটি একটি তথ্যবহুল সিনেমা হবে।’