বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ভূইয়ার বিরুদ্ধে অসহায় পরিবারের কৃষি জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ভবগঞ্জ এলাকায় একটি সাংবাদিক সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ফায়েজা বেগম ও ওসমানউদ্দীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফায়েজা বেগমের ছেলে আবুল কাশেম শিকদার ও নাতি জাহিদ শিকদার।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ফায়েজ বেগমের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাদিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শাহাজাহান ভূইয়া তাদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসা বানিজ্যসহ এলাকায় ভূমি দস্যুতা করে গেছেন। বর্তমানে শেখ হাসিনা পালানোর পর বিএনপির দলীয় একটি পদ ব্যবহার করে এলাকার নিরীহ মানুষের জমি দখল, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তার ১৮ শতাংশ জমিতে ফসলসহ জোরপূর্বক ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করে দখলে নিয়ে যান তিনি। দীর্ঘ ৪২ বছর এ জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে রয়েছেন তারা। হঠাৎ বিএনপি আসার পর ওই জমি নিজের দাবি করে জোরপূর্বক দখলে নিয়ে যান তিনি। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী ওসমানউদ্দীন জানান, তার বাড়িসহ ওই এলাকার আব্দুল করিম মাস্টারের বাড়ি দখল ও ভাঙচুর করে জোরপূর্বক দখল করে বিএনপি নেতা মো. শাহাজাহান ভূঁইয়া। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তারা। তাকে দখলদারিত্বে বাঁধা দিলে দো'নালা বন্দুক দিয়ে হত্যার ভয় দেখাও হয়। এছাড়া তার নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ভুক্তভোগীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ভূমিদস্যু বিএনপি নেতা শাহাজাহানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী এই দুই পরিবার।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত সাদিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ভূইয়া বলেন, ‘আদালতের রায় পেয়ে আমি জমি দখলে নিয়েছি। আদালত রায়ের মাধ্যমে তাদের জমিতে যাওয়ার জন্য নিষেধ করেছেন। তবে কাউকে হুমকি দেইনি।’
তবে, অন্য অভিযোগকারীদের চেনেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।