সাড়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে জড়িত অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার
রাজশাহী মহানগরীতে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের কাছ থেকে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাসুম নওগাঁ জেলার মান্দা থানার ঠাকুর মান্দা গ্রামের মৃত ছানোয়ার শেখের ছেলে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, গত ২০ এপ্রিল সকালে ব্যবসায়ী বিপুল ঘোষ তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ম্যানেজার দিলীপ কুমার প্রামানিকের মাধ্যমে নগদ ১৩ লক্ষ টাকা পাঠান। দিলীপ কুমার সকাল পৌনে ৯টায় নগরীর বোয়ালিয়া থানার ঘোড়ামারা পানির পাম্প সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে হেলমেট পরিহিত দুইজন অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল আরোহী অটোরিকশার গতি রোধ করে তার চোখে শুকনো মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেন এবং ধারাল চাকু দিয়ে আঘাত করে তার কাছে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। এ সময় ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ব্যাগ থেকে ২ লক্ষ ৫০ টাকা পড়ে যায়। তবে ব্যাগে থাকা বাকি ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে পুলিশ মহানগরজুড়ে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসায় এবং থানা ও টহল দলকে সতর্ক করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত অটোরিকশা এবং চালককে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার এসআই শরিফুল ইসলাম ও তার টিম গত ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আসামি মাসুমকে তার নিজ বাড়ি মান্দা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মাসুম ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে, ঘটনার পরপরই চালক আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন।
এদিকে ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধারসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
