অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি কালাম, সেক্রেটারি মামুন

বিনোদন ডেস্ক
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২১:০৪
শেয়ার :
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি কালাম, সেক্রেটারি মামুন

টিভি নাটকের শিল্পীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের আজকের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু।

আজ শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ, শেষ হয় বিকেল ৫টায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার নরেশ ভূঁইয়া ও ফারুক আহমেদ।

নির্বাচিতরা হলেন সহসভাপতি অভিনেতা মো. ইকবাল বাবু, আজিজুল হাকিম ও শামস সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিনেতা মাসুদ রানা মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজাত শিমুল ও রাজিব সালেহীন।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘোষিত ফলাফলের বিপক্ষে আপিল করতে পারবেন পরাজিত প্রার্থীরা। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হবে ২২ এপ্রিল।

নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৬৯৯ জন। ২১টি পদের দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি ১৯টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

নির্বাচন কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ। তার সহযোগী ছিলেন নির্বাচন কমিশনার নরেশ ভূঁইয়া ও ফারুক আহমেদ। আপিল বোর্ডের সদস্যরা হলেন মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত ও দিলারা জামান।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪০ প্রার্থী। সভাপতি পদে অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম ও আব্দুল্লাহ রানা। সহসভাপতি ছয় প্রার্থী হলেন আশরাফ টুলু, মো. ইকবাল বাবু, এস এম আশরাফুল আলম, এহসানুর রহমান, আজিজুল হাকিম, শামস সুমন। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন অভিনেতা শাহেদ শরীফ খান এবং অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু।  

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন পাভেল ইসলাম, সুজাত শিমুল, শফিউল আলম বাবু, কবির টুটুল ও রাজিব সালেহীন। 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়ছেন মাসুদ রানা মিঠু ও হিমে হাফিজ। অর্থ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন নূর এ আলম নয়ন ও তানভীর মাসুদ।

অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে এম এ সালাম সুমন, সান্ত্বনা সাদিকা, শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে সুবর্ণা মজুমদার ও সুচন্দা সিকদার লড়েন। 

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুকুল সিরাজ ও প্রিন্স রনি প্রতিদ্বন্দ্বী। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আর এ রাহুল, নিলাভ আমান ও মাহাদি হাসান পিয়াল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের সাতটি সদস্য পদের জন্য ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।