অসহায় ব্যক্তিকে খাবার দেওয়ায় স্বামী-স্ত্রীকে মারল কিশোরগ্যাং

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৬
শেয়ার :
অসহায় ব্যক্তিকে খাবার দেওয়ায় স্বামী-স্ত্রীকে মারল কিশোরগ্যাং

লক্ষ্মীপুরে এক অসহায় ব্যক্তিকে খাবার দেওয়াকে কেন্দ্র করে সরকারী কর্মচারী মো. বাবুল ও তার স্ত্রী রুবি আক্তারকে পিটিয়ে আহত করে 'কিশোরগ্যাংয়ের' সদস্যরা। এক পর্যায়ে তাদের ছুরিকাঘাতে বাবুলের কপাল ও হাত-পা জখম হয়। 

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উত্তর বাঞ্চানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই ভুক্তভোগী রুবি বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন জুয়েল হোসেন, মো. শান্ত, মো. রাকিব ও মো. রাসেল। এর মধ্যে জুয়েল ও শান্ত উত্তর বাঞ্চানগর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে এবং রাকিব ও রাসেল একপি এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। অজ্ঞাত আসামিরা তাদের বন্ধু। 

আহত বাবুল লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের (এমএলএসএস) অফিস সহকারী ও উত্তর বাঞ্চানগর ছেরাগ আলী জমাদার বাড়ির মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে।

অভিযোগ সূত্র জানায়, ভূক্তভোগী বাবুল ও অভিযুক্ত জুয়েল-শান্ত প্রতিবেশি। জুয়েল-শান্ত তাদের বাবা ইসমাইলকে খাওয়ার দেয় না। প্রায়ই তারা তাকে মারধর করে। ইসমাইল প্রায়ই বাবুলের বাড়িতে গিয়ে খুটিনাটি কাজ করে দেয় এবং খাওয়া ধাওয়া করে। এতে বিভিন্ন সময় বাবুলকে শান্ত ও জুয়েল মারধরের হুমকি দেয়। এর জের ধরেই ঘটনার সময় বাবুল বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে গেলে পরিকল্পিতভাবে তারা হামলা চালায়। চিৎকার শুনে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে রুবিকেও তারা মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা বাবুলের কপালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার শরীর জখম হয়। 

রুবি আক্তার বলেন, অসহায় ইসমাইলকে মাঝে মধ্যে খাবার খাওয়ানোর কারণেই তার ছেলেদের নেতৃত্বে আমার স্বামীর ওপর হামলা করা হয়। হামলাকারীরা কিশোরগ্যাং হিসেবে পরিচিতি। আশপাশের লোকজন ছুটে না আসলে তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলতো। 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’