গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় কয়েকজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রামগড় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড তৈচালাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম আজাদ (৫৫) পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি তৈচালাপাড়ায় বসবাস করতেন। আহতরা হলেন- শাহাদাত হোসেন, মো. শাহীন আলম, শেফায়েত উল্লাহ, নুরুল আলম আরিফ, আফসার, আমেনা বেগম ও নুরুল আলম খোকন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তৈচালাপাড়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন ও মর্তুজা আলমের সাথে বিরোধপূর্ণ জমিতে গরু ঘাস খাওয়া নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়। পরে এ বিষয় নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তৈচালাপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির অফিসে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে সামাজিক সালিস বৈঠক হয়।
এতে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌরসভা কাউন্সিলর মো. রহিমুল্লাহ, সহ সভাপতি ও সাবেক পৌরসভা কাউন্সিলর রেজাউল করিম ফোরকান, সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয়রা উপস্থিতি ছিলেন।
বৈঠকের শেষ পর্যায়ে সাবেক কাউন্সিলর রহিমুল্লাহর ছেলে নুরুল আলম আরিফের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে সাদ্দাম হোসেনের ভাই শেফায়েতের তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তৈচালাপাড়া বাজারে সামনে তাদের মধ্যে এ নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদ, সাদ্দামের ভাই শাহীন, শাহাদাৎ, শেফায়েত, রহিম উল্লাহর ছেলে আরিফ, আফসার ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম এবং স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম খোকন আহত হন।
আহতদের রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর আবুল কালাম, শাহাদাতসহ তিনজনকে জরুরি চিকিৎসার জন্য রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একইরাতে আবুল কালাম মারা যান। আর চিকিৎসাধীন শাহাদাতের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। নিহত আবুল কালামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় এখনও কেউ মামলা দায়ের করেনি।’